প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম (২০২৫)
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান? তাহলে আসুন এই আর্টিকেলটি পড়ে জেনে
নেয়, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম, সুবিধা, প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র, এবং আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সাধারণত দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত বিদেশগামী মানুষদের মধ্যে
আর্থিকভাবে সহায়তা করতে সহজ কিছু শর্তে বিভিন্ন ঋণ সুবিধা প্রদান করে। তাই
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম এবং বিস্তারিত শর্তাবলী জানতে পুরো
আর্টিকেলটি পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অভিবাসন ঋণ আবেদন প্রক্রিয়া
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন ফরম ডাউনলোড ও পূরণ পদ্ধতি
- প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন সুবিধা
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সহজ কিস্তিতে লোন পাওয়ার নিয়ম
- প্রবাস ফেরতদের জন্য পুনর্বাসন ঋণ পাওয়ার শর্ত ও প্রক্রিয়া
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সর্বশেষ লোন সুদের হার ও শর্ত ২০২৫
- প্রবাসীদের জন্য সরকারি ঋণ সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি
- আমাদের মন্তব্যঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই গুগলে
সার্চ করে থাকি যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কীভাবে লোন পাবো এবং এর শর্তাবলী
কী কী। তাই আমাদের সুবিধার্থে, এই আর্টিকেলটি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা
হয়েছে। আশা করি, এই গাইডের মাধ্যমে আমরা সহজেই লোন আবেদন প্রক্রিয়া ও
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবো।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ও
প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। সাধারণত, এই ব্যাংক বিদেশগামী কর্মী, প্রবাস ফেরত
ব্যক্তিদের পুনর্বাসন এবং প্রবাসীদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য
সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে। লোন পেতে হলে প্রথমে নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করতে
হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তা যাচাই-বাছাই করে লোন মঞ্জুর
করে। সাধারণত, এই ঋণের সুদহার কম এবং পরিশোধের সময়সীমা সহজ করে নির্ধারণ করা
হয়। আরও বিস্তারিতভাবে জানতে নিচে পড়ুন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অভিবাসন ঋণ আবেদন প্রক্রিয়া
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অভিবাসন ঋণ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের অনেকের
ধারণা নাও থাকতে পারে। যেমন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিদেশগামী কর্মীদের
সহায়তার জন্য সহজ শর্তে অভিবাসন ঋণ প্রদান করে। এই ঋণ পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট
কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়, এই ধাপগুলা জানতে নিচে পড়ুন-
১) যোগ্যতা ও শর্তাবলী
- আবেদনকারীকে বৈধভাবে বিদেশে কর্মসংস্থানের অনুমতি (ভিসা) পেতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র ও বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- মজুরি উপার্জনকারী কল্যাণ বোর্ডে নিবন্ধিত হতে হবে।
- নির্ভরযোগ্য দুইজন জামিনদার থাকতে হবে।
২) আবেদন জমা দেওয়া
- নির্দিষ্ট শাখা থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
- ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আবেদন যাচাই-বাছাই করবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অতিরিক্ত তথ্য চাইতে পারে।
৩) ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ
- যাচাই শেষে আবেদনকারীর যোগ্যতা নিশ্চিত হলে ঋণ অনুমোদন করা হয়।
- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণের অর্থ আবেদনকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রদান করা হয়।
- ঋণ পরিশোধ কিস্তিতে করা যায়, যা সাধারণত ২৪ থেকে ৩৬ মাসের মধ্যে পরিশোধযোগ্য।
৪) ঋণের সুদের হার ও পরিশোধ
- সাধারণত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অভিবাসন ঋণের সুদহার কম এবং পরিশোধের সময়সীমা সহজ করা হয়।
- ঋণ পরিশোধ মাসিক কিস্তিতে করা যায়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অভিবাসন লোন পাওয়ার জন্য নির্ধারিত শর্ত মেনে আবেদন
করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। লোন পাওয়ার
জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলা কি কি জানতে নিচে পড়ুন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন বিস্তারিত পড়ুন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র ও নথিপত্র
জমা দিতে হয়। নিম্নে অভিবাসন ঋণ ও পুনর্বাসন ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের
তালিকা দেওয়া হলোঃ
১) আবেদনকারীর ব্যক্তিগত কাগজপত্র
- আবেদন ফরম (ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে)
- জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি
- পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি (বৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ নয়)
- প্রবাসে কাজের চুক্তিপত্র বা ভিসার কপি
- ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন কার্ডের কপি
- মেডিকেল রিপোর্টের সত্যায়িত কপি
- বিমানের টিকিটের সত্যায়িত কপি (যদি থাকে)
- চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
আরো পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন-সম্পূর্ণ গাইড
২) জামিনদারের কাগজপত্র
- ২ জন গ্রহণযোগ্য জামিনদারের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
- জামিনদারের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- জামিনদারের ব্যাংক হিসাব বা সম্পদের কাগজপত্র (যদি প্রয়োজন হয়)
৩) অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (ঋণের ধরন অনুযায়ী প্রযোজ্য)
- বিদেশগামী কর্মীর ক্ষেত্রে - নিয়োগপত্র বা ভিসা অনুমোদন পত্র
- প্রবাস ফেরত কর্মীর ক্ষেত্রে - দেশে ফেরার প্রমাণপত্র বা আগের কর্মসংস্থানের তথ্য
- উদ্যোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে - ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বা প্রস্তাব
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন ফরম ডাউনলোড ও পূরণ পদ্ধতি
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন ফরম ডাউনলোড ও পূরণ পদ্ধতি এই আর্টিকেলে
বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যম প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নিয়ার সম্পূর্ণ
প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো।
১) আবেদন ফরম ডাউনলোড করার পদ্ধতি
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যায়
অথবা নিকটস্থ শাখা থেকে সংগ্রহ করা যায়। pkb.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে "ফরম ও নীতিমালা" বা "ঋণ আবেদন ফরম" বিভাগ থেকে
ফরম ডাউনলোড করুন।
২) আবেদন ফরম পূরণ করার পদ্ধতি
আবেদন ফরম সর্তকতার সাথে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে, যাতে কোনো ভুল না থাকে। নিচে
প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ উল্লেখ করা হলো-
- নাম (বাংলা ও ইংরেজিতে)
- পিতার / স্বামীর নাম
- মাতার নাম
- জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর
- জন্ম তারিখ
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা
- মোবাইল নম্বর ও ইমেইল
- পাসপোর্ট নম্বর
- পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ ও মেয়াদ
- গন্তব্য দেশ ও ভিসার ধরন
- চাকরির নিয়োগপত্রের তথ্য
- আবেদনকৃত ঋণের পরিমাণ
- আয়-ব্যয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
- ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা
- দুইজন জামিনদারের নাম, পরিচয় ও সম্পর্ক
- জামিনদারের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ঠিকানা
- জামিনদারের স্বাক্ষর ও ছবি সংযুক্ত করতে হবে
৩) আবেদন ফরম জমা দেওয়ার নিয়ম
- ফরম সঠিকভাবে পূরণ করার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় জমা দিতে হবে।
- ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই শেষে ঋণ অনুমোদন করবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লোন বিতরণ করা হবে।
বিঃদ্রঃ আবেদন জমা দেওয়ার পর ৭-১৫ কার্যদিবসের মধ্যে লোন প্রসেসিং করা হয়।
লোনের টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করা হয় এবং নির্ধারিত কিস্তিতে
পরিশোধ করতে হয়। এখন চলুন জেনে আসি প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংকের লোন সুবিধা কেমন।
প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন সুবিধা
প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন সুবিধা সম্পর্কে জানতে পুরা
আর্টিকেলটি পড়ুন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিদেশগামী ও প্রবাস ফেরত কর্মীদের
আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে। মূলত, অভিবাসন
ব্যয় বহনের জন্য অভিবাসন ঋণ, প্রবাস ফেরতদের জন্য পুনর্বাসন ঋণ, এবং
উদ্যোক্তাদের জন্য স্ব-কর্মসংস্থান ঋণ প্রদান করে থাকে।
এই ঋণ সুবিধাগুলো সহজ শর্তে পাওয়া যায় এবং সুদের হার তুলনামূলকভাবে কম।
আবেদনকারীদের নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলে দ্রুত লোন অনুমোদন
হয়ে থাকে। সাধারণত, এই ঋণের অর্থ সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রদান করা হয় এবং
মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়।বিদেশগামী, প্রবাসে কর্মরত এবং ফেরত আসা
কর্মীদের জন্য এই ঋণ একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায়তা হিসেবে কাজ করে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সহজ কিস্তিতে লোন পাওয়ার নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সহজ কিস্তিতে লোন পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত
জানুন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিদেশগামী কর্মী, প্রবাস ফেরত ব্যক্তিদের
পুনর্বাসন ও উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে লোন সুবিধা দিয়ে থাকে। এই
লোন সহজ কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়, যা অনেক প্রবাসীর জন্য বড় সহায়তা। লোন
পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ও শর্ত মানতে হয়।
১) কারা লোন নিতে পারবেন?
- আবেদনকারীকে বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে।
- বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা থাকতে হবে (বিদেশগামীদের জন্য)।
- প্রবাস ফেরতদের দেশে ফেরার প্রমাণ দিতে হবে।
- ব্যবসার জন্য লোন নিতে চাইলে একটি পরিকল্পনা জমা দিতে হবে।
- দুইজন জামিনদার দিতে হবে।
২) লোনের জন্য কী কী কাগজপত্র লাগবে?
- পূরণকৃত আবেদন ফরম (ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে হবে)
- জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের ফটোকপি
- চার কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- চাকরির চুক্তিপত্র বা নিয়োগপত্র (বিদেশগামীদের জন্য)
- মেডিকেল রিপোর্ট (যদি প্রয়োজন হয়)
- বিমানের টিকিট (যদি থাকে)
- জামিনদারের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি
৩) লোনের জন্য আবেদন করার নিয়ম
- প্রথমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নিকটস্থ শাখা থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
- ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
- ব্যাংকে ফরম জমা দেওয়ার পর, কর্তৃপক্ষ আবেদনটি যাচাই-বাছাই করবে।
- যাচাই শেষে, লোন অনুমোদন হলে টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে।
৪) লোন পরিশোধের সুবিধা
- সহজ মাসিক কিস্তিতে লোন পরিশোধ করা যায়।
- কিস্তির সময়সীমা সাধারণত ১২ থেকে ৩৬ মাস।
- সুদের হার কম ও সরকার-নির্ধারিত।
- স্বল্প আয়ের প্রবাসীরাও সহজেই এই লোন পরিশোধ করতে পারেন।
বিঃদ্রঃ লোন আবেদন ও বিস্তারিত তথ্যের জন্য নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের
শাখায় বা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যায়।
প্রবাস ফেরতদের জন্য পুনর্বাসন ঋণ পাওয়ার শর্ত ও প্রক্রিয়া
প্রবাস ফেরতদের জন্য পুনর্বাসন ঋণ পাওয়ার শর্ত ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো - প্রবাস ফেরতদের অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল করতে
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সহজ শর্তে পুনর্বাসন ঋণ প্রদান করে। যারা বিদেশ থেকে
ফিরে দেশে নতুন করে কর্মসংস্থান করতে চান, তাদের জন্য এই ঋণ বিশেষভাবে সহায়ক।
এই ঋণ পেতে হলে আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে এবং প্রবাস ফেরত
হওয়ার যথাযথ প্রমাণ দিতে হবে। লোনের জন্য আবেদন করার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
যেমন - জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ও ভিসার কপি, ফেরতের প্রমাণপত্র এবং
প্রস্তাবিত ব্যবসার পরিকল্পনা জমা দিতে হয় এবং নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে
হবে।
প্রথমে নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা থেকে ফরম সংগ্রহ করে পূরণ করতে
হবে, তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা দিতে হবে। যাচাই-বাছাই শেষে ব্যাংক
কর্তৃপক্ষ ঋণ অনুমোদন করলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা
করা হয়। এই ঋণ সহজ কিস্তিতে পরিশোধ করা যায় এবং সুদের হার তুলনামূলকভাবে কম, যা
প্রবাস ফেরতদের স্বনির্ভর হতে সাহায্য করে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সর্বশেষ লোন সুদের হার ও শর্ত ২০২৫
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সর্বশেষ লোন সুদের হার ও শর্ত ২০২৫ - এর আপডেট জানা
জরুরি, তাই আসুন বিস্তারিত জানার জন্য আর্টিকেলটি সম্পূণ পড়ি। প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক বর্তমানে অভিবাসন ঋণের জন্য ৯% সরল সুদ নির্ধারণ করেছে। এই ঋণ সুবিধার
আওতায় প্রবাসী কর্মীরা সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ নিতে
পারেন।
ঋণ গ্রহণের জন্য আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে এবং তাকে ২০০
টাকা আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে। সাধারণত, ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ১০ থেকে ২২ মাস
পর্যন্ত নির্ধারিত হয়, যা নির্ভর করে গন্তব্য দেশের উপর। এছাড়া, আবেদনকারীর
বৈধ বিএমইটি ছাড়পত্রসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
বিঃদ্রঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহণের শর্ত ও সুদের হার সময়ে সময়ে
পরিবর্তিত হতে পারে। তাই সর্বশেষ তথ্যের জন্য ব্যাংকের অফিসিয়াল
ওয়েবসাইট pkb.gov.bd বা নিকটস্থ শাখার
সাথে যোগাযোগ করা উচিৎ। এছাড়া, ঋণ গ্রহণের পূর্বে সকল শর্ত ও পরিশোধের নিয়ম
ভালোভাবে বুঝে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
প্রবাসীদের জন্য সরকারি ঋণ সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি
প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন সরকারি ঋণ সুবিধা রয়েছে, যা তাদের কর্মসংস্থান,
ব্যবসা বা অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সহায়ক। এসব ঋণ সাধারণত নিম্ন
সুদে এবং সহজ শর্তে প্রদান করা হয়। প্রধান কিছু প্রবাসীদের জন্য সরকারি
ঋণ সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
১) প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণ - প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন
ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। যেমনঃ
- অভিবাসন ঋণ - প্রবাসে যাওয়ার জন্য ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ।
- ব্যবসায়িক ঋণ - প্রবাসীদের স্বদেশে ব্যবসা শুরু করতে ঋণ প্রদান করা হয়।
- শিক্ষা ঋণ - প্রবাসীদের সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ সুবিধা।
আবেদন পদ্ধতি
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করা যায়।
- নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখায় গিয়ে আবেদন করা যায়।
২) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী বন্ড
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য বিশেষ বন্ডের ব্যবস্থা করেছে, যাদের মাধ্যমে
তারা দেশে বিনিয়োগ করতে পারে এবং লাভ পেতে পারে। আবেদন পদ্ধতি - প্রবাসীরা এই
বন্ড কিনতে পারেন বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা থেকে এবং বন্ডের মূলধন দেশের বাইরে
থেকেও পাঠানো যায়।
৩) সরকারি কৃষি ঋণ
প্রবাসীরা যদি দেশে এসে কৃষি বা কৃষিভিত্তিক কোন ব্যবসা করতে চান, তবে তারা
কৃষি ঋণ সুবিধা নিতে পারেন। এই ঋণের জন্য সহজেই আবেদন করা যায়। যেমন, প্রবাসী
কৃষকরা কৃষি ব্যাংক থেকে এবং বিভিন্ন কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ সুবিধা নিতে
পারেন।
৪) জাতীয় উন্নয়ন ব্যাংক ঋণ
জাতীয় উন্নয়ন ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে, বিশেষ করে
উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে। প্রবাসী উদ্যোক্তা তাদের ব্যবসার জন্য
ব্যাংকের শাখায় ঋণ আবেদন করতে পারেন, তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, পরিচয়পত্র
এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে।
৫) হাউজিং ঋণ (গ্রামীণ ব্যাংক)
প্রবাসীরা দেশে বাড়ি নির্মাণ বা কেনার জন্য হাউজিং ঋণ নিতে পারেন। গ্রামীণ
ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে অথবা গ্রামীণ ব্যাংকের যে কোনো শাখায় গিয়ে আবেদন
করতে পারেন।
আমাদের মন্তব্যঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত উপরে
সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন
নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন, তাহলে অবশ্য এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে
পড়বেন।
এখানে আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এই বিষয়ে আপনার যদি কোন
প্রশ্ন বা মতামত থাকে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন এবং অন্যদের
জানার সুযোগ করে দিবেন। ধন্যবাদ ধর্য্য সহ এতোখন ধরে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ
মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।
আপনার মতামত আমাদেরকে সাহায্য করবে আরো সুন্দরভাবে আপনাদের সেবা দেওয়ার জন্যে ।
comment url