কম্পিউটার কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি? কীবোর্ডের ৭টি বিশেষ কী কী?
আজকের আর্টিকেলে আমরা কম্পিউটার কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি? - কীবোর্ডের
পরিচিতি, কীবোর্ডের প্রকারভেদ এবং কি-বোর্ডের শর্টকাট ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা
করব।
যদি সোজা ও সরলভাবে বলা হয়, তাহলে কীবোর্ড হলো একটি ইনপুট ডিভাইস, যার মাধ্যমে
একটি কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইসে টেক্সট বা সংখ্যা প্রবেশ করানো হয়।
কম্পিউটার কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি? - সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি
সম্পূর্ণ পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ কম্পিউটার কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি?
- কম্পিউটার কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি?
- কীবোর্ড এর কোন বাটনের কি কাজ
- কী-বোর্ডের কন্ট্রোল কী কয়টি
- কী বোর্ডের কয়টি অংশ
- কিবোর্ড এর বাটন কয়টি
- কিবোর্ড পরিচিতি pdf এবং সর্টকার্ট
- কম্পিউটারের কি বোর্ড এর ব্যবহার
- কী বোর্ড এর ছবি
- জনপ্রিয় ১০ টি কি-বোর্ডের নাম
- কীবোর্ডের ৭টি বিশেষ কী কী?
- আমাদের মতামত
কম্পিউটার কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি?
কম্পিউটার কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি? চলুন জেনে আসি। কম্পিউটার কীবোর্ড
সাধারণত বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, যা এর গঠন, সংযোগ ব্যবস্থা ও ব্যবহারের উপর
ভিত্তি করে বিভক্ত করা হয়। প্রধানত, কীবোর্ডকে তিনটি প্রধান ক্যাটাগরিতে ভাগ
করা যায়।
১) গঠনের ভিত্তিতে কীবোর্ডের প্রকারভেদ
- মেমব্রেন কীবোর্ড - এটি সবচেয়ে সাধারণ কীবোর্ড, যেখানে সফট রাবার ডোম সুইচ ব্যবহার করা হয়, যা তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী কিন্তু কম প্রতিক্রিয়াশীল।
- মেকানিক্যাল কীবোর্ড - এতে প্রতিটি কী-এর নিচে পৃথক সুইচ থাকে, যা দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। এটি সাধারণত গেমার এবং টাইপিস্টদের জন্য জনপ্রিয়।
- চিকলেট কীবোর্ড - ফ্ল্যাট এবং কম উচ্চতার কীগুলি থাকে, সাধারণত ল্যাপটপ ও ম্যাকবুকের কীবোর্ডে ব্যবহৃত হয়।
- হল ইফেক্ট কীবোর্ড - এটি চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যবহার করে কাজ করে, যা দীর্ঘস্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য।
২) সংযোগ ব্যবস্থার ভিত্তিতে কীবোর্ডের প্রকারভেদ
- ওয়্যারড কীবোর্ড - এটি ইউএসবি বা পুরনো পিএস/২ পোর্ট ব্যবহার করে কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, যা সাধারণত দ্রুত ডাটা ট্রান্সফারের জন্য ভালো।
- ওয়্যারলেস কীবোর্ড - এটি ব্লুটুথ বা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংযুক্ত হয়, যা তারবিহীন সুবিধা প্রদান করে।
৩) ব্যবহারের ভিত্তিতে কীবোর্ডের প্রকারভেদ
- স্ট্যান্ডার্ড কীবোর্ড - সাধারণ কীবোর্ড যেখানে ১০১ বা ১০৪টি কী থাকে এবং এটি অফিস ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য আদর্শ।
- গেমিং কীবোর্ড - বিশেষ প্রোগ্রামেবল কী, আরজিবি লাইটিং, এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন সুইচ থাকে, যা গেমারদের জন্য উপযোগী।
- মাল্টিমিডিয়া কীবোর্ড - অতিরিক্ত মাল্টিমিডিয়া কী থাকে, যেমন ভলিউম কন্ট্রোল, প্লে-পজ, ইত্যাদি, যা বিনোদনের জন্য উপযোগী।
- এর্গোনমিক কীবোর্ড - আরামদায়ক ডিজাইন থাকে, যা দীর্ঘ সময় ব্যবহারের জন্য উপযোগী এবং কব্জির উপর চাপ কমায়।
- ফোল্ডেবল বা কম্প্যাক্ট কীবোর্ড - সহজে বহনযোগ্য এবং মোবাইল বা ট্যাবলেটের জন্য উপযোগী।
কীবোর্ড এর কোন বাটনের কি কাজ
কম্পিউটার কীবোর্ডের প্রতিটি বাটনের নির্দিষ্ট কাজ থাকে। কীবোর্ড এর কোন
বাটনের কি কাজ নিচে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কী এবং তাদের কার্যাবলী উল্লেখ করা
হলোঃ
১) অক্ষর কী
- (A-Z) ইংরেজি বর্ণমালা টাইপ করার জন্য।
- (0-9) সংখ্যা টাইপ করার জন্য।
- (`! @ # $ % ^ & * ( ) _ +`) ইত্যাদি প্রতীক টাইপ করতে ব্যবহৃত হয়।
২) ফাংশন কী
- F1 সহায়তা মেনু খুলতে ব্যবহৃত হয়।
- F2 ফাইল বা ফোল্ডারের নাম পরিবর্তন করতে ব্যবহৃত হয়।
- F3 সার্চ অপশন খুলতে ব্যবহৃত হয়।
- F4 (Alt + F4) একসঙ্গে চাপলে অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ হয়।
- F5 ওয়েব পেজ বা ফাইল রিফ্রেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
- F6 ব্রাউজারে অ্যাড্রেস বারে সরাসরি যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- F7 (MS Word) এ স্পেল চেক করতে ব্যবহৃত হয়।
- F8 (Windows Safe Mode) চালু করতে ব্যবহৃত হয়।
- F9 কিছু সফটওয়্যারে শর্টকাট হিসেবে কাজ করে।
- F10 মেনু বার সক্রিয় করতে ব্যবহৃত হয়।
- F11 ফুল-স্ক্রিন মোড চালু বা বন্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।
- F12 (Save As) অপশন খুলতে ব্যবহৃত হয়।
৩) নেভিগেশন কী
- Arrow Keys (↑ ↓ ← →) কার্সর উপরে, নিচে, বামে বা ডানে সরানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
- Home কার্সরকে লাইনের শুরুতে নিয়ে যায়।
- End কার্সরকে লাইনের শেষে নিয়ে যায়।
- Page Up এক পৃষ্ঠার উপরে যাওয়ার জন্য।
- Page Down এক পৃষ্ঠার নিচে যাওয়ার জন্য।
- Insert লেখা ওভাররাইট বা ইনসার্ট মোড চালু/বন্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।
- Delete ক্যারেক্টার বা ফাইল ডিলিট করতে ব্যবহৃত হয়।
- Backspace বাম পাশে থাকা ক্যারেক্টার মুছতে ব্যবহৃত হয়।
৪) নিউমেরিক কীপ্যাড
- (0-9) সংখ্যা টাইপ করতে ব্যবহৃত হয়।
- (+ , - , * , /) গাণিতিক অপারেশন সম্পাদন করতে ব্যবহৃত হয়।
- Enter কমান্ড কার্যকর করতে ব্যবহৃত হয়।
- Num Lock নিউমেরিক কীপ্যাড সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় করতে ব্যবহৃত হয়।
৫) স্পেশাল কী
- Print Screen (PrtScn) স্ক্রিনশট নিতে ব্যবহৃত হয়।
- Scroll Lock (ScrLk) কিছু অ্যাপ্লিকেশনে স্ক্রলিং কন্ট্রোল করতে ব্যবহৃত হয়।
- Pause/Break কিছু বিশেষ সফটওয়্যারে ব্যবহৃত হয়।
কী-বোর্ডের কন্ট্রোল কী কয়টি
কীবোর্ডে সাধারণত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কন্ট্রোল কী থাকে, যা বিভিন্ন
শর্টকাট এবং অপারেশন সম্পাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণত কন্ট্রোল কী-এর
সংখ্যা ৫টি, তবে কিছু কীবোর্ডে অতিরিক্ত কী থাকতে পারে।
- Ctrl অন্যান্য কী-এর সঙ্গে মিলে শর্টকাট তৈরিতে ব্যবহৃত হয় (যেমন: Ctrl + C = কপি, Ctrl + V = পেস্ট)।
- Alt অন্যান্য কী-এর সঙ্গে মিলে শর্টকাট তৈরিতে ব্যবহৃত হয় (যেমন: Alt + Tab = উইন্ডো পরিবর্তন)।
- Shift বড় হাতের অক্ষর টাইপ করতে বা বিকল্প কী ব্যবহার করতে ব্যবহৃত হয় (যেমন: Shift + 1 = `!`)।
- Windows Key স্টার্ট মেনু খুলতে ব্যবহৃত হয়।
- Esc চলমান প্রক্রিয়া বা ডায়ালগ বক্স বন্ধ করতে ব্যবহৃত হয়।
কী বোর্ডের কয়টি অংশ
কীবোর্ড মূলত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে গঠিত, যা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন
ধরনের ইনপুট দিতে সহায়তা করে। প্রধান অংশগুলোর মধ্যে রয়েছে আলফানিউমেরিক
কেইস, যা সাধারণ টাইপিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং ফাংশন কী, যা নির্দিষ্ট
শর্টকাট ও অপারেশন সম্পাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া নেভিগেশন কী, যেমনঃ অ্যারো কী, হোম, এন্ড, পেজ আপ এবং পেজ ডাউন কী, যা
স্ক্রলিং এবং কার্সর নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহৃত হয়। কীবোর্ডে আরও কিছু
গুরুত্বপূর্ণ অংশ থাকে, যেমন নিউমেরিক কীপ্যাড, যা দ্রুত সংখ্যাসূচক ইনপুটের
জন্য সহায়ক।
কন্ট্রোল কী, যেমনঃ Ctrl, Alt, Shift, এবং Esc, বিভিন্ন কমান্ড ও শর্টকাট
ব্যবহারে সাহায্য করে। এছাড়া কিছু কীবোর্ডে মাল্টিমিডিয়া কী এবং
প্রোগ্রামেবল কী যুক্ত থাকে, যা নির্দিষ্ট কাজের জন্য কাস্টমাইজ করা যায়।
কীবোর্ড সাধারণত ওয়্যারড বা ওয়্যারলেস প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে
সংযুক্ত হয়।
কিবোর্ড এর বাটন কয়টি
কিবোর্ডের বাটন সাধারণত দুটি প্রধান ধরনের হয়ে থাকেঃ স্ট্যান্ডার্ড কিবোর্ড এবং
নাম্বার কিবোর্ড। স্ট্যান্ডার্ড কিবোর্ডে সাধারণত ১০৪ থেকে ১০৮টি বাটন থাকে। এই
বাটনগুলোর মধ্যে অক্ষর, সংখ্যা, এবং অন্যান্য কন্ট্রোল বাটন যেমনঃ শিফট,
কন্ট্রোল, এলট, ফাংশন কী (F1-F12) থাকে।
এর মধ্যে কিছু বিশেষ বাটন যেমনঃ এস্কেপ, ডিলিট, এন্টার, স্পেসবার ইত্যাদি, যা
ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব রাখে এবং দ্রুত কাজ করতে সাহায্য করে। তবে,
কিছু কিবোর্ডে বিশেষভাবে গেমিং কিবোর্ড বা মাল্টিমিডিয়া কিবোর্ডে অতিরিক্ত ফাংশন
বাটন বা কাস্টমাইজ করা বাটন থাকতে পারে।
এই ধরনের কিবোর্ডে আরও অতিরিক্ত নেভিগেশন বাটন এবং মিডিয়া কন্ট্রোল বাটন থাকে, যা
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ এবং দ্রুত করতে সহায়তা করে। সাধারণত, কিবোর্ডের
বাটন সংখ্যা ১০০ থেকে ১২০ এর মধ্যে হতে পারে, যা কিবোর্ডের ধরন এবং ফিচারের উপর
নির্ভর করে।
কিবোর্ড পরিচিতি pdf এবং সর্টকার্ট
কিবোর্ড একটি ইনপুট ডিভাইস যা কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিজিটাল যন্ত্রের সঙ্গে
যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত বিভিন্ন বাটনের সমন্বয়ে গঠিত, যার
মাধ্যমে কম্পিউটারে অক্ষর, সংখ্যা, কমান্ড, এবং অন্যান্য ইনপুট প্রদান করা হয়।
কিবোর্ডের ডিজাইন সাধারণত একটি অ্যারে আকারে থাকে, যেখানে অক্ষর, সংখ্যা এবং
ফাংশন বাটনগুলি নির্দিষ্টভাবে সাজানো থাকে।
কিবোর্ডের ইতিহাস ১৮৭০ সালে টাইপরাইটার আবিষ্কারের মাধ্যমে শুরু হয়। টাইপরাইটারের
কিবোর্ডের ডিজাইন থেকেই আধুনিক কিবোর্ডের ডিজাইন উদ্ভূত হয়েছে। আজকের কিবোর্ডে
এলট, কন্ট্রোল, শিফট, এন্টার, ফাংশন কীগুলি সহ আরও বিভিন্ন বিশেষ বাটন থাকে,
যা কম্পিউটার বা স্মার্ট ডিভাইসের কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করে। কিছু কিবোর্ডে
অতিরিক্ত নেভিগেশন বাটন, মাল্টিমিডিয়া কন্ট্রোল এবং গেমিং কন্ট্রোল বাটন থাকে, যা
বিশেষ কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। কিবোর্ড বর্তমানে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য
ডিভাইসের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে।
কম্পিউটারের কি বোর্ড এর ব্যবহার
কম্পিউটার কিবোর্ডের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি কম্পিউটারের সাথে
ব্যবহারকারীর যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। নিচে কিবোর্ডের কিছু মূল ব্যবহার দেওয়া
হলোঃ
১) অক্ষর ও সংখ্যা টাইপ করাঃ কিবোর্ডের প্রধান ব্যবহার হল অক্ষর, সংখ্যা এবং
বিশেষ চিহ্ন টাইপ করা। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী বিভিন্ন ডেটা, তথ্য, পাসওয়ার্ড,
ডকুমেন্ট বা ইমেল ইনপুট করতে পারে।
২) কমান্ড ও শর্টকাটঃ কিবোর্ডের Ctrl, Alt, Shift এর মতো ফাংশন বাটন ব্যবহার করে
দ্রুত কমান্ড দেয়া যায়। যেমন, Ctrl+C দিয়ে কপি, Ctrl+V দিয়ে পেস্ট, এবং Ctrl+Z
দিয়ে আন্ডু করা যায়। এই শর্টকাটগুলি কাজকে দ্রুত এবং সহজ করে তোলে।
৩) নেভিগেশনঃ কিবোর্ডের এন্ট্রি, এস্কেপ, ফাংশন কীগুলি, এবং এ্যারো কীগুলি (Up,
Down, Left, Right) ব্যবহার করে কম্পিউটারের বিভিন্ন ফাংশন বা ফাইল নেভিগেট করা
যায়। এগুলি ব্যবহারকারীকে মেনু, ফাইল এক্সপ্লোরার বা ওয়েব পেজে দ্রুত চলাফেরা
করতে সাহায্য করে।
৪) গেমিংঃ গেমাররা কিবোর্ডের সাহায্যে গেম কন্ট্রোল করে থাকে। গেমিং কিবোর্ডে
অতিরিক্ত কীগুলি থাকে যা গেম খেলার সময় দ্রুত এবং সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা
করে।
৫) মাল্টিমিডিয়া কন্ট্রোলঃ কিছু কিবোর্ডে মাল্টিমিডিয়া কন্ট্রোল বাটন থাকে, যার
মাধ্যমে মিউজিক বা ভিডিও প্লেব্যাক নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যেমন, প্লে, পজ, ভলিউম
বাড়ানো বা কমানো ইত্যাদি।
৬) অন্যান্য কার্যক্রমঃ কিবোর্ডের মাধ্যমে কম্পিউটার সিস্টেমের বিভিন্ন কাজ করা
যায়, যেমন ফাইল তৈরি বা এডিট করা, সফটওয়্যার চালানো, গ্রাফিক্স ডিজাইন করা
ইত্যাদি।
কম্পিউটার কিবোর্ড বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে
উঠেছে, যা নানা কাজে ব্যবহৃত হয় এবং প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে এটি আরও বেশি
কার্যকর হয়ে উঠছে।
কী বোর্ড এর ছবি
একটি কম্পিউটার কী বোর্ড, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন অক্ষর, সংখ্যা, এবং চিহ্নসহ
ফাংশন কী, স্পেস বার, এন্ট্রি কী এবং নেভিগেশন কী। এটি সাধারণত প্লাস্টিক বা
মেটাল থেকে তৈরি এবং একটি সোজা বা আর্কিত ডিজাইনে পাওয়া যায়, যা টাইপিংয়ের জন্য
ব্যবহার করা হয়।
জনপ্রিয় ১০ টি কি-বোর্ডের নাম
জনপ্রিয় এই কিবোর্ডগুলো গেমিং, টাইপিং, এবং মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের জন্য। নিচে
জনপ্রিয় ১০টি কিবোর্ডের নাম দেওয়া হলোঃ
- Logitech G Pro X
- Razer Huntsman Elite
- Corsair K95 RGB Platinum
- SteelSeries Apex Pro
- HyperX Alloy Elite 2
- Keychron K8
- Ducky One 2 Mini
- Apple Magic Keyboard
- Microsoft Surface Keyboard
- Redragon K552
কীবোর্ডের ৭টি বিশেষ কী কী?
কীবোর্ডের ৭টি বিশেষ কী হলোঃ
- Esc Key - কমান্ড বাতিল করতে, প্রোগ্রাম থেকে বের হতে বা সংলাপ বক্স বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl Key - শর্টকাট কমান্ড চালানোর জন্য অন্যান্য কী-এর সাথে মিলিত হয়ে ব্যবহৃত হয়, যা দ্রুত কাজ সম্পাদনে সহায়ক।
- Alt Key - অতিরিক্ত ফাংশন চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়, সাধারণত মেনু অপশন অ্যাক্সেস বা শর্টকাটের জন্য।
- Shift Key - বড় হাতের অক্ষর টাইপ করতে, সিম্বল টাইপ করতে এবং বিকল্প ফাংশন অ্যাক্সেস করতে ব্যবহৃত হয়।
- Enter Key - ইনপুট নিশ্চিত করতে, নতুন লাইন শুরু করতে বা কমান্ড সম্পন্ন করতে ব্যবহার করা হয়।
- Backspace Key - কার্সারের বাম পাশে থাকা ক্যারেক্টার মুছতে ব্যবহার করা হয়।
- Spacebar - লেখার সময় শব্দের মধ্যে ফাঁকা (স্পেস) দিতে ব্যবহৃত হয়, যা পাঠ্য বিন্যাসে গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের মতামত
কম্পিউটার কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি? কম্পিউটার কীবোর্ড সাধারণত তিন
প্রকারের হয়ে থাকেঃ মেমব্রেন কীবোর্ড, মেকানিক্যাল কীবোর্ড, এবং চিকলেট
কীবোর্ড। মেমব্রেন কীবোর্ডে রাবার ডোম ব্যবহার করা হয়, যা তুলনামূলকভাবে কম
দামি এবং নরম টাইপিং অভিজ্ঞতা দেয়। মেকানিক্যাল কীবোর্ড উচ্চমানের সুইচ
প্রযুক্তি ব্যবহার করে,
যা গেমার, প্রোগ্রামার এবং প্রফেশনালদের জন্য আদর্শ। চিকলেট কীবোর্ড পাতলা
এবং ফ্ল্যাট ডিজাইনের হওয়ায় সাধারণত ল্যাপটপে ব্যবহৃত হয় এবং সহজে
পরিষ্কার করা যায়। প্রতিটি কীবোর্ডের নিজস্ব সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যা
ব্যবহারকারীর চাহিদা এবং ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী নির্বাচন করা উচিত।
আপনার যদি আর কোনো প্রশ্ন থাকে বা সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে কমেন্টের
মাধ্যমে আমাদের জানাবেন এবং শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন এবং এমন
নতুন তথ্য পেতে ফলো করে সাথে থাকুন। ধন্যবাদ!
আপনার মতামত আমাদেরকে সাহায্য করবে আরো সুন্দরভাবে আপনাদের সেবা দেওয়ার জন্যে ।
comment url