কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের নাম ও ছবি | জানুন সহজ ভাষায়
কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের নাম ও ছবি সহ বিস্তারিত তথ্য। প্রসেসর, মাদারবোর্ড,
র্যাম, হার্ডড্রাইভ, মনিটর, কীবোর্ড, মাউস সহ অন্যান্য অংশের কার্যকারিতা
সম্পর্কে জানুন।
একবিংশ শতাব্দীতে আধুনিক বিজ্ঞানের অন্যতম বিস্ময়কর আবিষ্কার হলো কম্পিউটার।
কল্পনা করুন, আপনার চারপাশে যা কিছু রয়েছে, তার প্রায় সবকিছু তৈরির পেছনে কোনো না
কোনোভাবে কম্পিউটারের ভূমিকা রয়েছে। কম্পিউটার ছাড়া আধুনিক পৃথিবী যেন অচল হয়ে
পড়বে!
পেজ সূচিপত্রঃ কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের নাম ও ছবি
কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের নাম ও ছবি
কম্পিউটার একটি জটিল যন্ত্র হলেও এর বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে কাজ করে সহজেই আমাদের
প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের নাম ও ছবি
জানি সহজ ভাষায়,
কম্পিউটারের প্রধান অংশগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রসেসর, যা কম্পিউটারের মস্তিষ্ক
হিসেবে কাজ করে। মাদারবোর্ড হলো মূল সার্কিট বোর্ড, যেখানে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ
অংশ সংযুক্ত থাকে। র্যাম কম্পিউটারের অস্থায়ী মেমোরি, যা তথ্য দ্রুত পড়া ও লেখার
কাজ করে। হার্ডড্রাইভ ডাটা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
মনিটর ডিসপ্লে হিসেবে কাজ করে, যেখানে কম্পিউটারের আউটপুট দেখা যায়। কীবোর্ড ও
মাউস ইনপুট ডিভাইস, যা ব্যবহার করে কম্পিউটারে তথ্য প্রবেশ করানো হয়। এছাড়াও
পাওয়ার সাপ্লাই, গ্রাফিক্স কার্ড, স্পিকার, প্রিন্টারসহ আরও বিভিন্ন অংশ রয়েছে,
যা কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের ছবি
কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের ছবি দেখতে গেলে আমরা প্রধানত প্রসেসর, মাদারবোর্ড,
র্যাম, হার্ডড্রাইভ, মনিটর, কীবোর্ড, মাউস, পাওয়ার সাপ্লাই, গ্রাফিক্স কার্ড,
এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশের ছবি দেখতে পাই। প্রতিটি অংশের নির্দিষ্ট কাজ রয়েছে, যা
কম্পিউটারকে কার্যক্ষম রাখে। ছবি সহ বিস্তারিত জানতে, প্রতিটি অংশের কার্যকারিতা
ও গঠন সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ।
কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি
কম্পিউটার সাধারণত তিনটি প্রধান প্রকারে ভাগ করা হয়। এগুলো হলোঃ
১) আধুনিক বা পেশাদার কম্পিউটার
- এ ধরনের কম্পিউটারগুলি সাধারণত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং বিশেষ উদ্দেশ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- এর মধ্যে রয়েছে মেইনফ্রেম কম্পিউটার এবং সুপারকম্পিউটার।
- এগুলি অত্যন্ত দ্রুত এবং বৃহৎ পরিমাণের তথ্য প্রক্রিয়া করতে সক্ষম।
২) ব্যক্তিগত কম্পিউটার
- এগুলি সাধারণত ব্যবহারকারী বা ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়।
- এর মধ্যে রয়েছে ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ।
- এই কম্পিউটারগুলি অফিস কাজ, শিক্ষা, গেমিং, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৩) এম্বেডেড কম্পিউটার
এসব কম্পিউটার অন্য যন্ত্রের মধ্যে ইনস্টল করা থাকে এবং নির্দিষ্ট কাজের জন্য
ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণঃ স্মার্টফোন, টেলিভিশন, মাইক্রওয়েভ, অটোমোবাইল এবং স্মার্ট ওয়াচ।
এছাড়াও, কম্পিউটারকে আরো কিছু বিশেষ শ্রেণীতে ভাগ করা হয়, যেমনঃ
- মোবাইল কম্পিউটারঃ স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ইত্যাদি।
- মিনিকম্পিউটারঃ যা ছোট এবং মাঝারি ধরনের কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এগুলি ছাড়াও, অনেক ধরণের কম্পিউটার আছে যা বিভিন্ন প্রযুক্তিগত প্রয়োজন অনুসারে
ব্যবহৃত হয়।
কম্পিউটার যন্ত্রাংশের নাম ও দাম ২০২৫
কম্পিউটারের যন্ত্রাংশের দাম সময় ও বাজার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত
হতে পারে। তবে, ২০২৫ সালের প্রথম দিকে কিছু যন্ত্রাংশের আনুমানিক দাম নিম্নরূপ
ছিলঃ
১) মাদারবোর্ড
- এমএসআই ম্যাগ বি৭৬০ টোমাহক (ডিডিআর ৪) - প্রায় ২৭,৯০০ টাকা
- গিগাবাইট জেড৬৯০ গেমিং (ডিডিআর ৪) - প্রায় ২৫,৫০০ টাকা
- আসুস টাফ গেমিং জেড৭৯০ প্লাস ডি৪ (ডিডিআর ৫) - প্রায় ৩৯,০০০ টাকা
২) র্যাম
- জেইল প্রিস্টিন ৪ জিবি (ডিডিআর ৩) - প্রায় ১,৩৫০ টাকা
- ট্রানসেন্ড জেড ৪ ৪ জিবি (ডিডিআর ৪) - প্রায় ১,৪৫০ টাকা
- এডেটা প্রিমিয়ার ৮ জিবি (ডিডিআর ৪) - প্রায় ২,১০০ টাকা
৩) হার্ডডিস্ক ড্রাইভ (এইচডিডি)
- সিগেট বারাকুডা ১ টেরাবাইট - প্রায় ৪,২০০ টাকা
- ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল ২ টেরাবাইট - প্রায় ৫,৯০০ টাকা
- তোশিবা ৪ টেরাবাইটব - প্রায় ১৩,৩০০ টাকা
৪) সলিড স্টেট ড্রাইভ (এসএসডি)
- স্যামসাং ৯৮০ প্রো ২৫৬ জিবি - প্রায় ৩,৬৭০ টাকা
- এইচপি ইএক্স৯০০ ১২০ জিবি - প্রায় ১,৫৯৯ টাকা
৫) মনিটর
- এইচপি ১৮.৫ ইঞ্চি - প্রায় ১০,৩০০ টাকা
- ডেল পি ২২২২এইচ ২৫ ইঞ্চি - প্রায় ২৫,৫০০ টাকা
- এমএসআই প্রো এমপি২৪১এক্স ২৩.৮ ইঞ্চি - প্রায় ১৫,২০০ টাকা
৬) গ্রাফিক্স কার্ড
- গিগাবাইট জিটি-১০৩০ ২ জিবি - প্রায় ৯,৬০০ টাকা
- এমএসআই জিটিএক্স ১৬৫০ ডি৬ ৪ জিবি - প্রায় ১৮,৫০০ টাকা
- এমএসআই আরটিএক্স ৩০৬০ ভেনটাস ওসি ১২ জিবি - প্রায় ৩৮,৫০০ টাকা
৭) বহনযোগ্য হার্ডডিস্ক
- ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল মাই পাসপোর্ট ১ টেরাবাইট - প্রায় ৫,১৫০ টাকা
- তোশিবা ক্যানভিও বেসিক এ৫ ২ টেরাবাইট - প্রায় ৭,৩৫০ টাকা
- এডাটা এইচডি ৭১০ প্রো ২ টেরাবাইট - প্রায় ৮,৯০০ টাকা
8) প্রিন্টার
- এইচপি ডেস্কজেট ইঙ্ক অ্যাডভান্টেজ ২৭৭৫ - প্রায় ৮,৫০০ টাকা
- ইপসন ইকোট্যাঙ্ক এল৩২১০ - প্রায় ১৮,০০০ টাকা
- ক্যানন পিক্সমা জি১০১০ - প্রায় ১৪,৯৫০ টাকা
৯) কি-বোর্ড
- লজিটেক কে১২০ - প্রায় ৭২৫ টাকা
- এফোরটেক কেআরএস-৮২ - প্রায় ৮৯০ টাকা
- হ্যাভিট কেবি২৭৫এল গেমিং - প্রায় ৯২০ টাকা
উল্লেখ্য, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশের উপর শুল্ক
কমানোর ফলে কিছু যন্ত্রাংশের দাম কমার সম্ভাবনা ছিল। তবে, বাজারে এই পরিবর্তনের
প্রভাব কতটুকু পড়েছে তা নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর। স্থানীয় বাজারে
সর্বশেষ দাম ও প্রাপ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে স্থানীয় বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ
করার পরামর্শ দিচ্ছি।
কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি
কম্পিউটার প্রধানত কয়েকটি অংশে বিভক্ত থাকে, যা সমন্বিতভাবে কাজ করে। কম্পিউটারের
প্রধান অংশগুলো হলোঃ
১) মাদারবোর্ড
- এটি কম্পিউটারের মূল সার্কিট বোর্ড, যেখানে সব কম্পিউটার যন্ত্রাংশ সংযুক্ত থাকে।
- মাদারবোর্ডে সিপিইউ, র্যাম, গ্রাফিক্স কার্ড, হার্ড ড্রাইভ, এবং অন্যান্য উপাদান সংযুক্ত হয়।
২) প্রসেসর
- এটি কম্পিউটারের "মস্তিষ্ক" হিসেবে কাজ করে।
- এটি সমস্ত গণনা ও নির্দেশনা প্রক্রিয়া করে এবং কম্পিউটারের সমস্ত কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে।
৩) র্যাম
- এটি একটি স্বল্প-মেয়াদী স্মৃতি, যেখানে কম্পিউটার চলাকালীন সময়ে ডাটা সঞ্চিত থাকে।
- র্যাম কম্পিউটারের কাজের গতিকে প্রভাবিত করে।
৪) স্টোরেজ ডিভাইস
- হার্ড ড্রাইভ (এইচডিডি) এবং সলিড স্টেট ড্রাইভ (এসএসডি) মূলত তথ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- এইচডিডি বেশি সাশ্রয়ী হলেও এসএসডি দ্রুত গতি প্রদান করে।
৫) গ্রাফিক্স কার্ড
- এটি গ্রাফিক্স বা ভিডিও প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত হয়।
- গেমিং, ভিডিও এডিটিং বা গ্রাফিক্যাল কাজের জন্য একটি শক্তিশালী গ্রাফিক্স কার্ড প্রয়োজন।
৬) পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট
- এটি কম্পিউটারকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
- এটি মাদারবোর্ড, সিপিইউ, গ্রাফিক্স কার্ড, স্টোরেজ ডিভাইস ইত্যাদি অংশে শক্তি পৌঁছে দেয়।
৭) কুলিং সিস্টেম
- প্রসেসর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশের অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।
- সাধারণত ফ্যান, হিট সিঙ্ক বা লিকুইড কুলিং সিস্টেম ব্যবহার হয়।
8) ইনপুট ডিভাইস
- কম্পিউটারে তথ্য প্রবেশ করার জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো।
- উদাহরণঃ কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, মাইক, ওয়েবক্যাম ইত্যাদি।
৯) আউটপুট ডিভাইস
- কম্পিউটার থেকে তথ্য বা ডেটা প্রদর্শন করার জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো।
- উদাহরণঃ মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার ইত্যাদি।
১০) অপটিক্যাল ড্রাইভ
- এটি সিডি, ডিভিডি বা ব্লু-রে ডিস্ক পড়তে বা লেখতে ব্যবহৃত হয়।
- এখনকার কম্পিউটারে অনেক সময় এই ড্রাইভটি বাদ দেয়া হয়।
১১) নেটওয়ার্ক ডিভাইস
- এটি কম্পিউটারগুলোকে ইন্টারনেট বা একটি নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- উদাহরণঃ রাউটার, মডেম, নেটওয়ার্ক কেবল ইত্যাদি।
এগুলো ছাড়া কম্পিউটারে কিছু আনুষঙ্গিক অংশও থাকতে পারে, যেমন স্পিকার,
মাইক্রোফোন, প্রজেক্টর ইত্যাদি।
সিপিইউ এর বিভিন্ন অংশের নাম
সিপিইউ এর বিভিন্ন অংশগুলো পয়েন্ট আকারে নিচে দেওয়া হলোঃ
- অ্যালু (এরিথমেটিক লজিক ইউনিট) - এটি গণনা ও লজিক্যাল অপারেশন পরিচালনা করে, যেমন যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ এবং তুলনা।
- কন্ট্রোল ইউনিট - এটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের নির্দেশাবলী পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে এবং অন্যান্য অংশকে সঠিকভাবে কাজ করতে নির্দেশ দেয়।
- রেজিস্টার - ছোট, দ্রুত স্মৃতি যা ডাটা ও নির্দেশাবলী সংরক্ষণ করে, যা বর্তমানে প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। উদাহরণঃ অ্যাকুমুলেটর, প্রোগ্রাম কাউন্টার।
- ক্যাশ মেমরি - এটি একটি উচ্চগতির মেমরি, যা প্রসেসরের কাছে দ্রুত তথ্য সরবরাহ করে। এটি L1, L2, এবং L3 ক্যাশে হিসেবে বিভক্ত হতে পারে।
- বাস - এটি সিপিইউ এবং অন্যান্য কম্পিউটার উপাদানের মধ্যে ডাটা, অ্যাড্রেস এবং কন্ট্রোল সংকেত স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত একটি যোগাযোগ লাইন।
- নক-আউট - সিপিইউতে সময় নির্ধারণকারী সিগন্যাল প্রদান করে, যাতে সিপিইউ ঠিক সময়ে কাজ করতে পারে।
- ফ্ল্যাগ রেজিস্টার - এটি সিপিইউতে বিভিন্ন স্থিতি বা শর্ত নির্দেশ করে (যেমন, শূন্য ফলাফল বা ক্যারির অবস্থান)।
- ডাটা বাস - এটি সিপিইউ থেকে ডাটা পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত একটি যোগাযোগ লাইন।
- অ্যাড্রেস বাস - এটি সিপিইউ থেকে মেমরি বা অন্যান্য উপাদানের ঠিকানায় ডাটা পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত।
এই অংশগুলো একত্রে সিপিইউ-এর কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সাহায্য করে এবং কম্পিউটার
সিস্টেমের পারফরম্যান্স নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরো পড়ুনঃ লুডু গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে ২০২৫
কম্পিউটারের প্রধান দুটি অংশ কি কি
কম্পিউটারের প্রধান দুটি অংশ হলো হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার। হার্ডওয়্যার হলো সেই
শারীরিক যন্ত্রাংশগুলো যা কম্পিউটার সিস্টেমের বাস্তব উপাদান গঠন করে। এর মধ্যে
রয়েছে মাদারবোর্ড, প্রসেসর, র্যাম, হার্ড ড্রাইভ, গ্রাফিক্স কার্ড, কুলিং
সিস্টেম, পাওয়ার সাপ্লাই, এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ।
এই যন্ত্রাংশগুলো একসাথে কাজ করে কম্পিউটার সিস্টেমের মৌলিক কার্যাবলী সম্পাদন
করে। অন্যদিকে, সফটওয়্যার হলো কম্পিউটারের জন্য তৈরি করা প্রোগ্রাম এবং
অ্যাপ্লিকেশন যা হার্ডওয়্যারের সাথে যোগাযোগ করে কাজ করে।
সফটওয়্যার দুটি প্রধান ক্যাটাগরিতে বিভক্ত: সিস্টেম সফটওয়্যার, যেমন অপারেটিং
সিস্টেম (উইন্ডোজ, লিনাক্স, ম্যাকওএস) এবং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, যেমন ওয়ার্ড
প্রসেসর, ব্রাউজার, স্প্রেডশীট, গেমস ইত্যাদি। সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার একে
অপরের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে সক্ষম এবং কম্পিউটার ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য
পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার হলো কম্পিউটার সিস্টেমের শারীরিক উপাদানগুলো, যা দৃশ্যমান
এবং স্পর্শযোগ্য। এটি বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নিয়ে গঠিত, যা কম্পিউটারের কার্যক্রম
সম্পাদন করতে সহায়তা করে। হার্ডওয়্যারের মধ্যে মাদারবোর্ড, প্রসেসর, র্যাম,
হার্ড ড্রাইভ, গ্রাফিক্স কার্ড, পাওয়ার সাপ্লাই, কুলিং সিস্টেম, মনিটর, কীবোর্ড,
মাউস, এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
প্রতিটি হার্ডওয়্যার উপাদান একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে কম্পিউটারের বিভিন্ন
কার্যাবলী যেমন ডাটা প্রক্রিয়াকরণ, তথ্য সংরক্ষণ, ইনপুট গ্রহণ এবং আউটপুট
প্রদর্শন করে। হার্ডওয়্যার সঠিকভাবে কাজ না করলে সফটওয়্যার কার্যকরী হতে পারে না,
তাই এটি কম্পিউটারের অপারেশন ও পারফরম্যান্সের জন্য অপরিহার্য এবং গুরুত্বপূর্ণ।
কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এর কয়টি অংশ
কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার প্রধানত চারটি প্রধান অংশে ভাগ করা যেতে পারেঃ
- প্রসেসর
- মেমরি
- ইনপুট ডিভাইস
- আউটপুট ডিভাইস
আমাদের মতামত
কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের নাম ও ছবি | জানুন সহজ ভাষায়, প্রযুক্তি ও কম্পিউটার
যন্ত্রাংশের সঠিক ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে অনেক সহজ এবং দ্রুততর করে
তুলেছে। বর্তমান সময়ে, কম্পিউটার শুধু অফিসের কাজে সীমাবদ্ধ নয়, এটি শিক্ষা,
স্বাস্থ্য, ব্যবসা, গেমিং, এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করছে।
কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের উন্নয়ন, যেমন দ্রুত প্রসেসর, বড় র্যাম, শক্তিশালী
গ্রাফিক্স কার্ড এবং দ্রুত স্টোরেজ ডিভাইস, আমাদের কার্যক্ষমতাকে আরও উন্নত
করেছে। তবে, প্রযুক্তির ব্যবহারে সচেতনতা এবং সুরক্ষা বিষয়ে সচেতন হওয়া অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ, যেন প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে আরও সুবিধাজনক এবং নিরাপদ করতে
পারে।
আপনার যদি আর কোনো প্রশ্ন থাকে বা সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে কমেন্টের
মাধ্যমে আমাদের জানাবেন এবং শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিবেন, ধন্যবাদ!
আপনার মতামত আমাদেরকে সাহায্য করবে আরো সুন্দরভাবে আপনাদের সেবা দেওয়ার জন্যে ।
comment url